Primary Teacher Cancel List: বহু প্রতীক্ষিত মামলার রায়দান হল! মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন ও ২৭৩ জনের বাতিল চাকরি ফেরানোর আর্জি খারিজ

Primary Teacher Cancel List: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্টে একের পর এক রায় ঘোষনা হচ্ছে।আর হবে নাই বা কেন যোগ্য পার্থীদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য পার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে।কাড়ি কাড়ি টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনাবেচা হয়েছে।আর যোগ্য পার্থীদের কপালে রয়েছে শুধু বিক্ষোভ,ধর্না। এই বিক্ষোভ আর ধর্নার কারনে কত চাকরি পার্থীরা যে অসুস্থ হয়েছে তার হিসেব নেই।
Lottery Price Winning Tricks: এবার এই তিনটি পদ্ধতিতে লটারি কাটলেই পুরস্কার জিতবেন
Advertisement
চাকরি বদলে তাদের কপালে জুটেছে পুলিশের লাঠির আঘাত।কিন্তু যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিলেন তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। শিক্ষক পদপ্রার্থীদের ধর্না আর বিক্ষোভ চলছেই। ক্ষোভ আর হতাশা, পশ্চিমবঙ্গবাসীর চিন্তা ও লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রায় সব স্তরে সব রকম নিয়োগ নিয়ে শহরের একাধিক স্থান বছরভর এই বিক্ষোভের সাক্ষী রয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসী।
সরকারের প্রতিক্রিয়া হয় উদাসীন নয় প্রতিপক্ষীয়। সরকারের এই ঔদাসীন্য কেবল ওই হবু-শিক্ষকদের অপমান নয়, সমস্ত শিক্ষক সমাজের অপমান। কর্তৃপক্ষের চোখে শিক্ষার কী স্থান তা বোঝাই যাচ্ছে। উচ্চ আদালতে একের পর এক মামলা চলছে। বিচারপতির তদন্তে যে সব তথ্য উঠে আসছে, তাতে উদ্বেগ আর বাড়ছে। দুর্নীতির মাত্রা ও অস্বচ্ছতার নজির দিন দিন বাড়ছে।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রবল চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে খড়গহস্ত কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিজের পদ হারিয়েছেন। আর এবার কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য।
সিবিআই (CBI) থেকে মানিক-অপসারণ, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, পর্ষদ সভাপতি সহ চাকরি থেকে বহিষ্কৃত প্রার্থীরা। রায় দান স্থগিত রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ সেই বহু প্রতীক্ষিত মামলার রায়দান হল।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দায়ের হওয়া জোড়া মামলার স্থগিত রাখা শুনানি আজ হল। আজ সেই মামলার রায় ঘোষণা করল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে মান্যতা দিল ডিভিশন বেঞ্চ। মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত জারি থাকবে। CBI তদন্ত বন্ধের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মানিকবাবুর বোর্ড সভাপতি পদ থেকে সরানোর অর্ডার সঠিক বলেও মান্যতা দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ২৭৩ জনের চাকরি (Primary Teacher Cancel List) ফেরানোর আবেদনও খারিজ হয়ে গেল। অর্থাৎ এই মুহূর্তে এই ২৭৩ জন চাকরি পাচ্ছেন না। আদালত জানিয়ে দিল তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের পুনর্বহাল করা যাবে না। আর ২৬৯ বরখাস্ত প্রার্থী দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারবেন না।
আজ শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ ডিভশন বেঞ্চে রায় দানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ৮৫ পাতার রায় পড়তে শুরু করেন। আর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায় বহাল রেখে তিনি জানান, একক বেঞ্চই তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে রিপোর্ট চাইতে পারবে।
হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী পর্ষদের নথি ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ বহাল থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চ মামলা পর্যবেক্ষণ করবে। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর রিপোর্ট চাইতে পারবে সিঙ্গেল বেঞ্চ। কিছু বিরূপ মন্তব্য নির্দেশনামা থেকে মুছে ফেলা হল। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে ডিভিশন বেঞ্চ মান্যতা দেওয়ার কারনে প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য বড় ধাক্কা খেলেন।